IQNA

শ্বেতাঙ্গ যুবক জাতিগত ঘৃণা ও বিদ্বেষে উদ্বুগ্ধ হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সুপারমার্কেটে হামলা চালিয়েছে

15:44 - May 15, 2022
সংবাদ: 3471855
তেহরান (ইকনা): এই হল স্বপ্নপুরী বা স্বর্গরাজ্য তুল্য জ্ঞান - বিজ্ঞান শিক্ষা - দীক্ষা প্রযুক্তি ধন সম্পদে পৃথিবীতে সবচেয়ে উন্নত দেশের ভয়াবহ এ চিত্র।

১৮ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ ( سفید پوست ) যুবক জাতিগত ঘৃণা ও বিদ্বেষে ( حِقد و بُغْض و کینه ی نژادی ) উদ্বুগ্ধ ও তাড়িত ( উজবুক ) হয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নিউইয়র্কের এক শপিং মলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে অন্ততঃ দশ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরো কয়েকজনকে আহত করেছে । হতাহতদের অধিকাংশই কৃষ্ণাঙ্গ ( سیاه پوست ) । এ ধরণের হত্যাকাণ্ড মার্কিন মুলুকে প্রায়ই সংঘটিত হয় এবং সুদূর অতীত কাল থেকেই এ ধরণের হত্যাকাণ্ড ও হত্যাযজ্ঞের রেওয়াজ ও অজস্র নজীর বিদ্যমান আছে ।
গোটা ঊনবিংশ শতাব্দী এবং বিংশ শতকের প্রথমার্ধ জুড়ে মার্কিন মুলুকে কাউবয় কালচারের সয়লাব ছিল । অসভ্য বর্বর এই কাউবয় ( গরু রাখাল ) কৃষ্টি তো আসলে মারদাঙ্গা , লুটপাট , হত্যাকাণ্ড ও হত্যাযজ্ঞের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি । আর সেটাই এখনো পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজের শিরা ধমনীতে বহমান ( وَزان ) । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , কানাডা , অস্ট্রেলিয়া , সমগ্র মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় বহিরাগত জবর দখলকারী শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় অভিবাসীরা ঐ সব দেশের আদিবাসীদের মেরে কেটে খতম ও নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে । এই বহিরাগত দখলদার শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় অভিবাসীরাই আফ্রিকা মহাদেশে হানা দিয়ে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদেরকে বল পূর্বক দাস বানিয়ে ধরে এনেছে এই আমেরিকা মহাদেশে । এ সব ধৃত হতভাগ্য আফ্রিকানদেরকে দাস বানিয়ে তাদের শ্রম দিয়ে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লুণ্ঠিত ধন সম্পদ দিয়েই গড়ে উঠেছে ইউরোপ , মার্কিন মুলুক , কানাডা , অস্ট্রেলিয়া ও লাতিন আমেরিকান দেশ সমূহ । পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ সব বিকাশ , প্রগতি ও উন্নতির মূলেই রয়েছে হতভাগ্য ও দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ এ সব কালা আদমীদের ( কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ ) রক্ত নিংড়ানো শ্রম এবং সাম্রাজ্যবাদী শাসন ও শোষণ কবলিত জাতি সমূহের রক্ত।
দাসত্ব প্রথার তথাকথিত বিলুপ্তি ও উচ্ছেদের পরেও পশ্চিমা দেশ সমূহ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গরা শ্বেতাঙ্গদের অন্যায় , অত্যাচার , নির্যাতন , ভোগান্তি , বর্ণ বৈষম্য ও হত্যাযজ্ঞের হাত থেকে আজও রেহাই পায় নি যার সর্বশেষ উদাহরণ হল নিউইয়র্ক রাজ্যের এক সুপার মার্কেটের নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ।
তাই কিভাবে এ সব শ্বেতাঙ্গ বর্ণবৈষম্যবাদীদেরকে মার্জিত সুশীল সভ্য সাংস্কৃতিক মনোভাবাপন্ন আলোকিত মানুষ বলা যায় ? অথচ আমাদের দেশের অসভ্য পাশ্চাত্য পন্থীরা এ সব অসভ্য জারজ ( হারামযাদা ) , অবাধ লাগামহীন বিকৃত যৌনাচারী ব্যভিচারী , অপরাধী পশ্চিমাদেরকে উন্নত সভ্য আলোকিত মনের অধিকারী মুক্ত মনা ও উদার ভালো মানুষ বলে ভূয়সী প্রশংসা করে । পাশ্চাত্য আসলে কি ? অধিকাংশ পশ্চিমারাই হারামযাদা ( বাস্টার্ড ) , অবাধ ( লাগামহীন ) বিকৃত যৌনাচারী , ব্যভিচারী , বস্তুবাদী , খুনী অপরাধী। এদের খুব সুশীল , ভদ্র , মার্জিত কেতাদুরস্ত লোকেরাই এখনো অর্থাৎ এই গত ২০ বছরেই ফিলিস্তিন , লেবানন, লিবিয়া , সিরিয়া , ইরাক , আফগানিস্তান , পাকিস্তান , ইয়েমেন এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে যে ভীষণ অন্যায় , অত্যাচার এবং বীভৎস জঘন্য গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ও চালিয়ে যাচ্ছে তা থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে এরা সবাই আসলেই হাড়ে হারামী , বজ্জাত , হারামযাদা ও মানবতার শত্রু ছাড়া আর কিছুই নয় !! স্বয়ং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের হোথা হারামযাদা ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা এবং ৭০ বছরের অধিক কাল যাবৎ এই যায়নবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি কর্তৃক ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা , দমন , উচ্ছেদ ও বিতাড়ন এবং গোটা পশ্চিমা বিশ্ব কর্তৃক ইসরাইল নামক জঘন্য সন্ত্রাসী এ রাষ্ট্রটিকে সর্বাত্মক সমর্থন , সাহায্য ও পৃষ্ঠপোষণাদান থেকে কি এ মহা সত্য প্রমাণিত হয় না ?!
এ পশ্চিমারাই সমগ্র বিশ্ব জুড়ে দুর্নীতি, অপরাধ ও সংকট ছড়িয়ে দিয়েছে ও দিচ্ছে। আজ সমগ্র বিশ্ব ব্যাপী যে সন্ত্রাসবাদের দৌরাত্ম সেই সন্ত্রাসবাদের উৎপত্তি ও সৃষ্টিই হয়েছে পাশ্চাত্য কর্তৃক । তাই বলা যায় যে দায়েশ‌ ( আইসিস ) , আল - কায়দা ইত্যাদি নামের সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদী দল সমূহ হারামযাদা এই পাশ্চাত্যের গর্ভ জাত অবৈধ জারজ সন্তান !!! আসলে বস্তুবাদী নাস্তিক পাশ্চাত্যই দুনিয়াব্যাপী সকল অশান্তি , দুর্নীতি , কুকর্ম , অপরাধ ও পাপাচারের হোতা যার প্রমাণ দুনিয়ার যেখানেই গোলযোগ , বিশৃঙ্খলা , অশান্তি , ফিতনা ফ্যাসাদ রয়েছে ঠিক সেখানেই সেগুলোর সব কিছুর মূলে রয়েছে এই পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন । আজকের ইউক্রেন সংকটও এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সৃষ্ট । তাই এই অপরাধী হারামযাদা অবাধ লাগামহীন বিকৃত যৌনাচারী ব্যভিচারী পাশ্চাত্যকে খুব ভালোভাবে চিনতে হবে।

ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

১৫-৫-২০২২

captcha