IQNA

সাইয়্যেদুশ শোহাদা (আ.)-এর সাথে সামাজিক জীবন/৪

আশুরার দিনে জোহরের নামাজ হতে শিক্ষা

21:41 - September 25, 2022
সংবাদ: 3472529
তেহরান (ইকনা): ইমাম হুসাইন (আ.) আশুরার দুপুরে এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি দিয়েছিলেন যে, ইবাদতকারীদের নামাজ ও জামাতের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।

হুসাইনের (আ.) আরবাইন দিবস উপলক্ষে কুরআন বিশেষজ্ঞ হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ জাভেদ বেহেশতীর "সাইয়্যেদুশ শোহাদা (আ.)এর সাথে সামাজিক জীবন" নামক শীর্ষক বৈঠকে বলেন: আসুন আজকের জীবনের জন্য ইমাম হুসাইন (আ.)এর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি।

সূরা নিসার ১০২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন:

وَإِذَا کُنْتَ فِیهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَکَ وَلْیَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْیَکُونُوا مِنْ وَرَائِکُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَىٰ لَمْ یُصَلُّوا فَلْیُصَلُّوا مَعَکَ وَلْیَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ وَدَّ الَّذِینَ کَفَرُوا لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِکُمْ وَأَمْتِعَتِکُمْ فَیَمِیلُونَ عَلَیْکُمْ مَیْلَةً وَاحِدَةً وَلَا جُنَاحَ عَلَیْکُمْ إِنْ کَانَ بِکُمْ أَذًى مِنْ مَطَرٍ أَوْ کُنْتُمْ مَرْضَىٰ أَنْ تَضَعُوا أَسْلِحَتَکُمْ وَخُذُوا حِذْرَکُمْ إِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْکَافِرِینَ عَذَابًا مُهِینًا

(হে রাসূল!) যখন তুমি তাদের (জিহাদকারীদের) মাঝে অবস্থান করে তাদের জন্য নামায প্রতিষ্ঠা কর (জামাআতের সাথে নামায পড়) তখন অবশ্যই তাদের একটি দল (শুধু) তোমার সাথে নামাযে দাঁড়াবে এবং অবশ্যই তারা তাদের অস্ত্র-শস্ত্র সাথে রাখবে; এরপর যখন তারা সেজদা পূর্ণ (ও নামায শেষ) করবে তখন তারা তোমাদের পেছনে (রক্ষক হিসেবে) অবস্থান গ্রহণ করবে এবং অপরদল যারা নামায আদায় করেনি অবশ্যই তারা এসে তোমার সাথে নামাযে শরীক হবে এবং তারাও অবশ্যই অস্ত্র-শস্ত্র ও আত্মরক্ষার উপকরণগুলো নিজেদের সঙ্গে রাখবে। অবিশ্বাসীরা আশা করে যে, তোমরা তোমাদের অস্ত্র-শস্ত্র ও সাজ-সরঞ্জাম হতে অমনোযোগী হয়ে যাও, যাতে তারা একযোগে আক্রমণ করতে পারে। হ্যাঁ, যদি বৃষ্টির কারণে তোমাদের (অস্ত্রধারণ করতে) কষ্ট হয় অথবা তোমরা অসুস্থ থাক তবে তা ছেড়ে রাখায় কোন আপত্তি নেই; কিন্তু আত্মরক্ষায় উপকরণগুলো সঙ্গে রাখবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ অবিশ্বাসীদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।

এই আয়াতে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ নবীকে (সা.) যুদ্ধের ময়দানে - যেখানে ১৭০০ জন যোদ্ধা ছিল সেখানে - প্রার্থনায় জামাতের নেতৃত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন। জামাতের মধ্যে সহানুভূতি, সহযোগিতা, সাধারণ চিন্তাভাবনা, সাধারণ ভাষা এবং সহানুভূতি প্রকাশ পায়। যদিও যুদ্ধক্ষেত্রে বিপদ রয়েছে এবং শত্রুরা ইসলামী সেনাবাহিনীর ক্ষতি করতে পারে তা সত্ত্বেও, মহান আল্লাহ তাঁর নবীকে যোদ্ধাদের দুই ভাগে বিভক্ত করতে বলেছন।

যুদ্ধের নামায দুই রাকাত; প্রথম রাকাতে অর্ধেক যোদ্ধা নবী (সা.)এর ইমামতিতে নামাজ আদায় করেছেন এবং তারা দ্বিতীয় রাকাত দ্রুত ফুরাদা আদায় করে নামাজ শেষ করেছেন এবং তারা বাকী যোদ্ধাদের সাথে তাদের স্থান পরিবর্তন করেছেন, যাতে তারা দ্বিতীয় রাকাতে নবী করিম (সা.)এর সাথে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতে পারেন।

আমাদের জন্য এই আয়াতের বার্তা কি? আমরা কি বর্তমানে আরামদায়ক অবস্থায় থাকা কালীণ জামাতে নামাজ আদায় করি? আমরা কি এত অনুপ্রাণিত?

ইমাম হুসাইন (আ.) আশুরার দুপুরে এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি দিয়েছিলেন যে, ইবাদতকারীদের নামাজ ও জামাতের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। ইমাম হুসাইন (আ.) এই কাজের মাধ্যমে আমাদের বুঝাতে চেয়েছিলেন যে, সকল সমস্যা ও সংকটে আমাদের নামাজের সাহায্য নেওয়া উচিত। একটি ফোঁটার প্রভাব রয়েছে, কিন্তু একটি সমুদ্র অন্য প্রভাব রয়েছে; এর এজন্য মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হতে হবে; মসজিদগুলো পূর্ণ করতে হবে।

 

captcha