IQNA

জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

16:45 - December 23, 2019
সংবাদ: 2609886
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সৌদির একটি আদালত। এছাড়া তিনজনকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হিসেবে যুবরাজের পরই যার নাম এসেছিল সেই সৌদ আল কাহতানিকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের প্রধানকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে খবর এসেছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: বলা হয়ে থাকে, যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী কাহতানিই স্কাইপের মাধ্যমে দূর থেকে হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। তুর্কি সূত্রগুলো এর আগে জানিয়েছিল, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের নির্দেশে সৌদ আল কাহতানির নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন হয়।

গত বছরের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়। সৌদির একটি কিলিং স্কোয়াড টিম যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু প্রথম থেকেই ওই হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে আসছে সৌদি।

সৌদির রাজপরিবারের নানা অন্যায় সিদ্ধান্তের সামলোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন খাশোগি। যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত জামাল খাশোগি গত বছরের ২ অক্টোবর দুপুরে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন। সেদিনই ভোরে সৌদি থেকে একটি প্রাইভেট জেট বিমান নামে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে।

তুরস্কের টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিমান থেকে নয়জন ব্যক্তি নেমে আসে। পরে আরেকটি বিমানে করে আরও ছয়জন আসে। তারা ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের কাছে দু’টি হোটেলে ওঠে।

সন্দেহভাজন ওই ১৫ জনকে সৌদি এজেন্ট হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তাদের নাম এবং ছবিও প্রকাশ করা হয়। খাসোগি হত্যায় সন্দেহের তীর তাদের দিকেই ছিল। সাংবাদিক খাশোগি ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন তার প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে তালাক সম্পর্কিত কাগজপত্র নিতে। এরপরেই তিনি তার তুর্কি বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিসকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।

তিনি সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের আগমুহূর্তে সেখানে তার বান্ধবীর কাছে দুটি মোবাইল ফোন রেখে গিয়েছিলেন। তার বান্ধবী সৌদি কনস্যুলেটের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। কিন্তু খাশোগি সৌদি কনস্যুলেট থেকে আর বেরিয়ে আসেননি। জামাল খাসোগির এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিশ্বের নজরে আসে। বিভিন্ন দেশ জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে আসছে।  iqna

captcha