ইমাম আলী (আ.) ইসলামিক সেন্টার সূরা বাকারার ৩৪ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে:
«وَ إِذْ قُلْنا لِلْمَلائِکَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلاّ إِبْلیسَ أَبى وَ اسْتَکْبَرَ وَ کانَ مِنَ الْکافِرینَ»
অর্থ: (৩৪) (সে সময়কেও স্মরণ কর) যখন আমরা ফেরেশতাদের বললাম, ‘আদমকে সিজদা কর’, তখন ইবলিস ব্যতীত সকলেই সিজদায় নত হল; সে অমান্য করল এবং অহংকারী হয়ে গেল; আর সে তো অবিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলই।
«خَلَقْناكُمْ ثُمَّ صَوَّرْناكُمْ ثُمَّ قُلْنا لِلْمَلائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ»
অর্থ: অবশ্যই আমরা তোমাদের সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তোমাদের আকৃতি নির্দিষ্ট করেছি, তারপর ফেরেশতাদের বললাম, ‘আদমকে সিজদা কর’। (সূরা আ’রাফ, আয়াত ১১)
এখানে خَلَقْناكُمْ এ বহুবচন সম্বন্ধসূচক সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে। এব্যাপারে ইমাম সাজ্জাদ (আ.) বলেন: হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন: আদমের প্রতি সকল ফেরেশতাদের সিজদা মূলত তাঁর বংশধরদের কারণে হয়েছিল। ফেরেশতাদের সিজদা অস্থায়ী ছিল। ফেরেশতাদের সিজদা অস্থায়ী ছিল, তবে মু’মিনদের কাছে তাদের (ফেরেশতাদের) অবতরণ এবং ইস্তেগফার স্থায়ী ছিল।
إِنَّ ٱلَّذِينَ قَالُواْ رَبُّنَا ٱللَّهُ ثُمَّ ٱسۡتَقَٰمُواْ تَتَنَزَّلُ عَلَيۡهِمُ ٱلۡمَلَـٰٓئِكَةُ
অর্থ: নিশ্চয় যারা বলে, ‘আমাদের রব আল্লাহ’, তারপর অবিচলিত থাকে, তাদের কাছে নাযিল হয় ফেরেশতা (সূরা ফুসসিলাত, আয়াত ৩০)
«فَإِذا سَوَّيْتُهُ وَ نَفَخْتُ فِيهِ مِنْ رُوحِي فَقَعُوا لَهُ ساجِدِينَ»
অর্থ: সুতরাং আমি যখন তাকে সুঠাম করব এবং তাতে আমার থেকে রূহ ফুঁৎকার করব তখন তোমরা তার সম্মুখে সিজদাবনত হবে। (সূরা সাদ, আয়াত ৭২ )