IQNA

গণহত্যার স্বীকারোক্তি দেওয়া ২ মিয়ানমারি সেনা এখন হেগে আদালতে

20:53 - September 09, 2020
সংবাদ: 2611449
তেহরান (ইকনা): রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যার স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর মিয়ানমারের দুই সেনাকে নেদারল্যান্ডসের হেগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ বছর মিয়ানমারে করা একটি ভিডিওতে ওই দুই সেনা স্বীকার করেছেন, তারা উত্তর রাখাইনে কয়েকজন মানুষকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর অভিযানের সময়ে সৈনিকদের প্রতি নির্দেশ ছিল, ‘যাকে দেখবে তাকে গুলি করবে'।

ভিডিওতে স্বীকারোক্তি দেওয়া দুই সৈনিক হলো ৩৩ বছর বয়সী মিও উইন তুন এবং ৩০ বছর বয়সী জ নায়েং তুন। সেনা অভিযানের সময়ে নারী ও শিশুসহ নিরীহ মানুষকে হত্যা, গণকবরে মানুষকে মাটিচাপা দেওয়া ও ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধের কথা স্বীকার করেন।

স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুধু এই দুজন কমপক্ষে ১৮০ জন রোহিঙ্গা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। মিও উইন তুন স্বীকারোক্তিতে বলেন, ‘কর্নেল থান থাকি রোহিঙ্গাদের সমূলে হত্যার নির্দেশ দেন। এরপর সৈনিকরা মুসলিমদের কপালে গুলি করে এবং লাথি মেরে কবরে ফেলে দেয়।’বুথিডং অঞ্চলে কয়েকটি গ্রাম ধ্বংস এবং ৩০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যা করার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার পাশাপাশি আরও ৬০ থেকে ৭০ জন রোহিঙ্গা হত্যার সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত বলে মিও স্বীকারোক্তি দিয়েছে। জ নায়েং তুন বলেন, ‘মংদু টাউনশিপে ২০টি গ্রাম ধ্বংস এবং অন্তত ৮০ জনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। এ ছাড়া, সার্জেন্ট পায়ে ফোয়ে অং এবং কিয়েত ইয়ু পিন তিনজন রোহিঙ্গা নারীকে ধর্ষণ করেছেন, যার সাক্ষী আমি।’

হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হেফাজতে মিয়ানমারের ওই দুই সেনা এখন পর্যন্ত নেই বলে আদালতের এক মুখপাত্র জানান। ফাদি আল আবদুল্লাহ নামের ওই মুখপাত্র বলেন, 'না। এই তথ্য সঠিক নয়। আমরা এখনও তাদের আইসিসির হেফাজতে পাইনি।'

আরাকান আর্মি মূলত রাখাইনের নৃতাত্ত্বিক বৌদ্ধ গোষ্ঠীগুলোর সদস্যদের অংশগ্রহণে গঠিত। রাখাইনে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে এক দশক ধরে এই বাহিনী সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। মিয়ানমার সরকার আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। iqna

captcha