বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: তিনি আরো বলেছেন, আজকের কিশোররাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। কাজেই তাদেরকে শত্রুর সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার যোগ্যতা অর্জন করার পাশাপাশি সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামি শরিয়তের বিধান ফরজ হওয়া উপলক্ষে প্রায় দুই হাজার কিশোর মঙ্গলবার সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তাদের সমাবেশে দেয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান।
ইরানে শিশুদের ‘বালেগপ্রাপ্তি’ বা ইসলামি বিধিবিধান পালনের মতো পূর্ণ বয়সে উপনীত হওয়ার সময়টিতে নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিটি স্কুলে প্রতি বছর এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বালেগপ্রাপ্তদের জানিয়ে দেয়া হয় আজ থেকে তাদেরকে নামাজ ও রোজার মতো প্রতিটি ইসলামি ফরজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতাও প্রতি বছর এরকম একদল কিশোরের সমাবেশে ভাষণ দিয়ে তাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলেন। কিশোরদের নিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করেন সর্বোচ্চ নেতা
গতকালের (১৩ ডিসেম্বর) ভাষণে সর্বোচ্চ নেতা ধর্মীয় বিধিবিধান পালনে উপযুক্ত হওয়ায় কিশোরদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এজন্য তাদেরকে আল্লাহ তায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, মহান স্রষ্টার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনো মানুষ ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারে। এ সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কারণে আজ পশ্চিমা সমাজে নৈতিক স্খলন চরম আকার ধারণ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।