সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা শনিবার, ৬ এপ্রিল, লেবাননের আকাশসীমায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর যে ড্রোনটি ভূপাতিত করেছে সেটি ছিল হেরমেস-৯০০ শ্রেণির পাইলটবিহীন বিমান।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র অ্যাভিচাই অ্যাডরি বলেছেন, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ড্রোনটি লেবাননের ভূভাগে বিধ্বস্ত হয়েছে।
এই মনুষ্যবিহীন আকাশযানটি ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার সহযোগী দেশগুলো গোয়েন্দাবৃত্তি ও শত্রুর অবস্থান শনাক্ত করার কাজে ব্যবহর করে থাকে। ৯৭০ কেজি ওজন ও ১৫ মিটার লম্বা ডানাবিশিষ্ট বিশালকায় এই ড্রোন সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী যেসব ড্রোন ব্যবহার করে তার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ড্রোনটির হিব্রু নাম ‘কোচাব’।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। দখলদার সেনাদের বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে এ পর্যন্ত গাজার অন্তত ৩৩,২০০ অধিবাসী নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
গাজার ওপর ইসরাইলি বর্বরতা জবাব দিতে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ৭ অক্টোবর থেকেই দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে আসছে। গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে হিজবুল্লাহর চালানো এসব হামলায় ইসরাইলের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। #
পার্সটুডে